প্রকাশিত: Tue, Apr 4, 2023 6:58 AM
আপডেট: Thu, Jun 26, 2025 8:11 PM

নরসিংদীর তাঁতপল্লীতে ব্যস্ততা বাড়লেও কাটেনি ঋণের দুশ্চিন্তা

মাহবুব সৈয়দ: পলাশ উপজেলার কেন্দুয়াব, তালতলা, জয়নগর, হাসানটাসহ কয়েকটি এলাকার তাঁত কারিগররা দিন-রাত পরিশ্রম করে তৈরি করছে শাড়ি, থ্রিপিস ও চাদরসহ বিভিন্ন কাপড়। আর এ কাপড়ের পাইকারি কাপড়ের দেশের  অন্যতম প্রধান বাজার নরসিংদীর বাবুরহাটে। ভারত, আমেরিকা, লন্ডন, ইতালি, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে এ অঞ্চলের  কাপড়। 

 তাঁতশিল্পে জড়িতরা জানান, অর্থনৈতিক সংকট, কাঁচামালের অভাব,গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সুতাসহ কাপড় তৈরির উপকরণের দাম বাড়ায় অনেকটা বিপাকে পড়েছেন তারা। একদিকে উৎপাদন খরচের চেয়ে বাজার মূল্য কম হওয়ায় কাপড় তৈরি করে পোষাতে পারছেন না। অন্যদিকে বছর ভরে মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে নেওয়া টাকা পরিশোধের তাগাদায় অস্তিত্ব সংকটে পড়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্থে  হাজারের বেশি তাঁতশিল্প। 

সরকারি কোনো ঋণ না পেয়ে বছর ভরা দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে নিঃস্ব হয়ে অনেকেই এ পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। তাঁত কারিগর ইসমাঈল মিয়া জানান, সুদখোর দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে কোনো রকমে টিকে রয়েছেন তাঁতশিল্পে। ১ হাজার টাকায় প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে সুদ দিতে হচ্ছে মহাজনদের।

তাঁত ব্যবসায়ী বশির মিয়া জানান, সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা না পাওয়ায় সারা দেশেই তাঁতশিল্পের দুরাবস্থা। প্রতি মণ সুতা বাজার থেকে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় কিনতে হয়। আর মহাজনদের কাছে অগ্রিম টাকা নিয়ে কাপড় তৈরি করে সুদে আসলে তা পরিশোধ করতে হয়। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান